Header Ads Widget

হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.)

 


 হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.)  তুরস্কের সেলজুক প্রদেশ থেকে এই উপমহাদেশে আগমন করেন সুফি সাধক হজরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রহ.)।

 

আল্লাহর এই অলি তুরস্কের এক রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তুরস্ক সাম্রাজ্যের রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন এই হযরত শাহ সুলতান রুমী (রহ.)। তিনি সম্রাটের ছোট ভাই এবং সে দেশের একটি প্রদেশের গভর্নর হয়েও রাজ্য শাসন ও রাজকীয় ভোগবিলাস প্রত্যাখ্যান করে শুধু আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন ও ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ঘর-বাড়ি ত্যাগ করেন।

 

কঠোর সাধনার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জন করে নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা-বিপত্তি আর পদে পদে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে বন, জঙ্গল, পাহাড়, পর্বত পেরিয়ে তপ্ত রোদে পুড়ে,ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মরুভূমি এবং সাগর পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম, বগুড়াসহ বিভিন্ন অঞ্চল হয়ে ৯৯৭ বছর আগে ৪৪৫ হিজরিতে নেত্রকোনার মদনপুরে আগমন করেন এই মহাসাধক। বলা হয়ে থাকে তিনি প্রথম সুফি যিনি বাংলায় ভ্রমণ ও বসতি স্থাপন করেছিলেন।

 

নেত্রকোণায় ইসলামের প্রসারে তার নাম জড়িত আছে। তখন সেখানে মদন কোচ নামে এক প্রতাবশালী হিন্দু সামন্তরাজের শাসন চলছিল।

সে সময় শাহ্ সুলতান (রহ.)-এর এই উপমহাদেশে আর কোনো ইসলাম প্রচারকের আগমন ঘটেনি।

নানা তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে জানা যায়, শাহ্ সুলতান আগমনের অন্তত ১১৬ বছর পর ভারতের আজমিরে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) এবং সাড়ে ৩০০ বছর পর সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) এবং পর্যায়ক্রমে উপমহাদেশের নানা স্থানে ধর্ম প্রচারকদের আগমন ঘটে।

 

কাজেই এই উপমহাদেশে তিনিই প্রথম ইসলাম প্রচারক হিসেবে সমধিক বিবেচিত। উপমহাদেশে ইসলাম বিজয়ের অনেক আগেই তার আগমন ঘটেছিল বলে ইতিহাসবিদদের অনেকে মনে করেন।

নেত্রকোনায় আগমনের আগে বগুড়ায় গমন করেন।

 


কথিত আছে যে, হযরত শাহ্ সৈয়দ মাহমুদ বলখী (রহ.) এর নেতৃত্বে একটি উপদল যমুনা পথে বগুড়ায় ইসলাম প্রচারের জন্য গমন করেন। বগুড়ার সুশাসনকর্তা ছিলেন পালরাজের অধীনস্থ সামন্তরাজ পরশুরাম। সৈয়দ মাহমুদ শাহী শেয়ার সদলবলে রাজা পরশুরামের রাজধানী মহাস্থ নগড়ে অবস্থান নেন। সেখান হতে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে পুশুর রামের দরবারে দূত পাঠালেন। পরশুরাম ইসলামের কাফেলারে কথা শুনে ভীষন ক্ষীপ্ত হয়ে দূতকে বন্দী করে কাফেলায় অতর্কিত আক্রমণ করেন। অতর্কিত আক্রমণে দলনেতা হযরত সৈয়দ মাহমুদ শাহী শেয়ার বলখী (রহ.), হযরত মোঃ ফারুক শাহ্ (রহ.), হযরত শাহ্ মিয়া গাজী (রহ.), হযরত মোঃ কাবিল শাহ্ (রহ.)  সহ অনেকেই শাহাদাত বরণ করেন।

 

বগুড়ায় মুসলমানদের পরাজয়ের সংবাদ পেয়ে হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) সদল বলে বগুড়ার উদেশ্যে যাত্রা করেন। এদিকে মুসলীম বাহিনীর আগমনের খবর পেয়ে রাজা পরশুরাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হয়ে যুদ্ধ শুরু করেন। শতেক সংগী নিয়ে হযরত শাহ্ সুলতান (রঃ) পরশুরামের বিশাল বাহিনীকে পরাস্ত করেন। যুদ্ধে মুসলমি বাহিনীর ৭ জন শহীদ হন আর রাজা পরশুরাম সহ শতার্ধিক সৈন্য নিহত হয়।

 

নিহত রাজার উত্তরাধিকারী একমাত্র বোন পরমা সুন্দরী ও বুদ্ধিদীপ্ত শিলাদেবী ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সশস্ত্র হয়ে যখন যুবক সুলতানের মুখোমুখি হন তখন তার নূরানী মুখাবয়ব দেখে ক্ষিপ্ত শিলাদেবী সব ভুলে বিমোহিত হয়ে পড়েন। প্রতিশোধ না নিয়েই তিনি নিজ মহলে ফিরে যান। প্রচণ্ড আশেক হয়ে ধনসম্পদ, রাজ সিংহাসনসহ সব কিছুর বিনিময়ে তাকে পেতে চান। সব ভুলে দাসীর মাধ্যমে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব পাঠান সুলতানের কাছে। কিন্তু তিনি এই প্রস্তার প্রত্যাখ্যান করায় ঘৃণা, ক্ষোভ ও হতাশায় শেষে বিষপানে আত্মহত্যা করেন রাজকুমারী শিলাদেবী। এ যুদ্ধে বিজয়ের ফলে বগুড়া মুসলমানদের হাতে আসে। কিছুদিন তিনি সেখানে থাকার পর কিছু সঙ্গী নিয়ে পূর্ব বঙ্গে যাত্রা শুরু করেন। এ সময় টাঙ্গাইলের মধুপুর এবং জামালপুর জেলার দুর্মোট অঞ্চলে কিছুদিন ইসলাম প্রচার শেষে মোমেন শাহ্ ও কামাল শাহ্ নামে সঙ্গীদের সেখানকার দায়িত্ব অর্পন করে, পরে ১০৫৩ সালে হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) শাহ্ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রহ.) ৪০ জন সঙ্গীসহ ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব তীরে বোকাইনগর পরগনায় অবস্থান নেন। কোচরাজ বোকাই কোচের রাজধানী 'বোকাইনগর' হয়ে বর্তমান নেত্রকোনা জেলার মদনপুরে।

 

হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) এর জীবনি গ্রন্থ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের গৌরীপুরের বোকাই নগর এবং নেত্রকোণার মদনপুর পরগনায় এই মদনপুরে তখন হিন্দু সামন্তরাজ মদন কোচের শাসন কায়েম ছিল। 

 

হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) মদন রাজার বাড়ি থেকে ৩ কি:মি: পশ্চিমে নামাজ খানায় অবস্থানকালে তাঁর অন্যতম সহচর হযরত রূপশ মল্লিক (রহ.) কে দূত হিসেবে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য রাজ দরবারে প্রেরন করেন। সামন্ত রাজ মদন কোচ মুসলীম বাহিনীর আগমনের কথা ও ইতিপূর্বেই মুসলীম বাহিনীর সাময়িক দক্ষতার কথা জেনে গিয়েছিলেন।

 

প্রেরীত দূত যখন তার রাজ দরবারে উপস্থিত হলেন এবং ইসলামের দাওয়াত পৌঁছালেন, তখন তিনি প্রকাশ্যে কিছু না বলে কৌশলে মুসলীম বাহিনীকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেন। তিনি তার মন্ত্রীপরিষদবর্গকে নিয়ে পরামর্শ করলেন মুসলীম বাহিনীকে দাওয়াত করে এনে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে হত্যা করবেন।

 

রাজার সৈন্যগণ ইতিমধ্যে হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) এর বাহিনীর ওপর আক্রমণে ব্যর্থ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে থাক। রাজা মদনকোচ কিছু সৈন্য সংগে নিয়ে হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) এর তাবুর কাছে গিয়ে এ স্থান ত্যাগ করে তার রাজ্য সীমার বাইরে চলে যেতে নির্দেশ দেন। রাজার দিকে তাকিয়ে স্থান ত্যাগের আপত্তি জানালে রাজা তা মানতে রাজী হননি। তখন তিনি তাঁর  স্বীয় আসনের জায়নামাজ দেখিয়ে এ পরিমাণ জায়গার জন্য অনুরোধ জানান। রাজার উদ্যত আচরনে হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) স্বীয় জায়নামাজ উর্দ্দে ছুড়ে মারার সংগে সংগে তা তীব্র গতিতে বেড়ে সমস্ত এলাকা আচ্ছাদিত করে ফেলে। এ অলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ভয়ে ধর্ম গ্রহণ করার ছলনা করে মুসলীম বাহিনীকে তার বাড়িতে দাওয়াত করেন।

 

হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) এর কাফেলা ফজরের নামাজের পূর্বেই রাজবাড়ির সন্নিকটে এসে নামাজ আদায় করেন। রাজা তাদের আগমনে খুশি হয়ে রাজ দরবারে বসতে দিলেন । রাজদরবারে তলব করে ইসলাম ধর্মের মহিমা কি তা জানতে চান। শাহ্ সুলতান এই কথা শুনে পবিত্র কুরআন হতে সুমধুর সুরে কিছু আয়াত পাঠ করে শুনালে কুরআনের আয়াতের জালালি ভাব দেখে সামন্ত রাজ মদন কোচ অন্তর ভয়ে কেপে উঠে।

 

 এরপর ও পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) ও তাঁর সঙ্গীদেরকে বিষ মিশানো তরল পানিয় পরিবেশন করেন। হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.) কে উদ্দেশ্য করে কোচ রাজা বলেন, আমাদের প্রথানুযায়ী অতিথিকে প্রথমে শরবত পান করাতে হয়। শরবত পান করার পর আপনাদের সব প্রস্তাব মানা হবে। এই বলে তিনি বিষের পেয়ালা হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহ.)এর হাতে তুলে দিয়ে তা পান করার তাগিদ দিলেন। হলাহল নামের মারাত্মক এই এক ফোঁটা বিষপান করার সঙ্গে সঙ্গে যে কেউ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার কথা। গোটা রাজ দরবারে তখন থমথমে অবস্থা। উজির, নাজির, মন্ত্রী ও পাইক-পেয়াদা সবাই তাদের ঘিরে রেখেছে। পালাবার কোনো রাস্তা নেই, সবাই তাদের নিশ্চিত মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

 

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী আল্লাহর অলি স্মিতহাস্যে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে বিষের পেয়ালা মুখে নিয়ে অর্ধেক পান করে অবশিষ্টাংশ শিষ্যদের পান করতে দিলেন। তারাও ‘বিসমিল্লাহ’ বলে নির্দ্বিধায় পান করলেন শরবত। কিন্তু না, কিছুতেই কিছু না হওয়ায় বিস্ময়ে সবাই হতভম্ভ হয়ে গেলেন।

 

এই অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখে রাজা প্রমাদ গুনলেন। শর্তানুযায়ী শেষে জায়নামাজ বিছানোর অনুমতি দেন। জায়নামাজ বিছানোর সঙ্গে সঙ্গে তা প্রসারিত হতে লাগলো আর রাজাসহ সভাসদগণ পেছাতে লাগলেন। মুহূর্তে সব রাজ দরবার ঘিরে ফেলে জায়নামাজটি। সেখানে শাহ্ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রহ.) সহচরদের নিয়ে নামাজ আদায় করে রাসুলের ইসলাম প্রচারের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন। একের পর এক অলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর কোচ রাজা সহ সবার মনোবল ভেঙে পড়ল।

 

রাজা সামন্ত রাজ অবাক হয়ে চিন্তা করে দেখলেন যে সামান্য বিসমিল্লাহ্ শরিফ পাঠ করে যদি বিষ অমৃত হয়ে যায় তাহলে কুরআনের আয়াত পাঠ করলে না জানি কি হবে। তাই শাহ্ সুলতানের এই কারামত দেখে এবং তাকে একজন সত্য আল্লাহর অলি বলে মনে প্রানে ভেবে নিয়ে সামন্ত রাজ মদন কোচ সপরিবারে শাহ্ সুলতান আওলিয়ার কাছে ইসলাম গ্রহন করেন। পরবর্তীতে উক্ত রাজ্যের সকল হিন্দু ধীরে ধীরে ইসলাম গ্রহন করেন।

 

সামন্ত রাজ মদন কোচ আল্লাহর অলিকে অনুরোধ করলেন তার নামটি যেন স্মরণীয় করে রাখা হয়। তিনিও কথা রাখলেন। রাজার অনুরোধে মদনপুর সহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানের নাম তার আত্মীয়দের নামানুসারে রাখা হয়। তখন থেকে ওই এলাকা মদনপুর ও পুকুরটি মদনলাল পুকুর নামে পরিচিতি লাভ করে।

 

a


হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রহ.) সেখানে খানকাহ স্থাপন করে রাসুলের ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন । তাঁর কারামতের সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার সান্নিধ্যে ও মধুর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে লোকজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে লাগলেন। ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য তার জীবন, যৌবন উৎসর্গ করে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চিরকুমার হজরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রহ.) সেখানে অবস্থান করে দূর-দূরান্তে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে লাগলেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে তিনি ইসলামের যে আলো জ্বালিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন সেই বিজয় নিশান আজো উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলছে।

 

যখন তিনি বুঝতে পারলেন্ তাঁর জীবনের শেষ সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে তখন তিনি ইসলাম প্রচার ও সমাজ সেবার দায়িত্ব সঙ্গীদের উপর অর্পন করে খানকা শরীফে এবাদত বন্দীগিতে মগ্ন হয়ে পড়েন।

আনুমানিক ৫০ বছর এখানে বসবাসের পর মহান অলি সুফি সাধক হিজরী ৫০ শতাব্দীর শেষ দিকে সকল ভক্তদের শোকসাগরে ভাসিয়ে পরপারে চলে গেলেন। ওফাতের পর তাঁকে রাজ্যে সম্মানে দাফন করা হয়।

বর্তমানে নেত্রকোনা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে কেন্দুয়া সড়ক পথে মগড়া নদীর তীরে মদনপুরের মোমেন শাহি নামক এলাকায় হজরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রহ.)-এর মাজার অবস্থিত। প্রতি বছর ফাল্গুনের পূর্ণিমায় তিন দিনব্যাপী ওরস হয় এখানে। লাখো ভক্ত-অনুরাগীদের আগমন ঘটে তখন।

বিশাল জায়গা জুড়ে মাজারের সম্পত্তি লাখেরাজ হওয়ায় তা রাজস্বমুক্ত। ১৮২৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মাজারের এই সম্পত্তি অধিগ্রহণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

 

হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রহ.) ৪০ জন সঙ্গীর পরিচয়:

১। হযরত শাহ্ সৈয়দ উদ্দিন সূরখ ছুরতনী (রহ:) (প্রকাশ মীর সাহেব হুজুর)

২। হযরত মোগল শাহ্ (রহ:) (দলনেতা)

৩। হযরত দুয়ারী শাহ্ (রহ:) (ওরফে জুবায়ের শাহ্)

৪। হযরত সৈয়দ শাহ্ (রহ:)

৫। হযরত শাহ্ কামাল (রহ:)

৬। হযরত বুড়াপীর শাহ্ (রহ:)

৭। হযরত শাহাব উদ্দিন শাহ্ (রহ:) (ছিলা শাহ্)

৮। হযরত করীম শাহ্ (রহ:)

৯। হযরত হোসেন শাহ্ (রহ:)

১০। হযরত শাহ্ নেওয়াজ (রহ:)

১১। হযরত বালক শাহ্ (রহ:)

১২। হযরত শাহ্ কিবরিয়া (রহ:)

১৩। হযরত মিছকিন শাহ্ (রহ:)

১৪। হযরত জামাল শাহ্ (রহ:)

১৫। হযরত পাগল শাহ্ (রহ:)

১৬। হযরত গোলাপ শাহ্ (রহ:)

১৭।  হযরত মজিদ শাহ্ (রহ:)

১৮। হযরত শাহজাহান শাহ্ (রহ:) (শাহ্ বাজ)

১৯। হযরত আজর শাহ্ (রহ:)

২০। হযরত রাখাল শাহ্ (রহ:)

২১। হযরত আলম শাহ্ (রহ:)

২২। হযরত দরবেশ শাহ্ (রহ:)

২৩। হযরত বলাইশা শাহ্ (রহ:)

২৪। হযরত ঈসমাইল শাহ্ (রহ:)

২৫। হযরত করীম উল্লাহ (রহ:)

২৬। হযরত সৈয়দ উল্লাহ (রহ:)

২৭। হযরত খন্দকার জরগিল শাহ্ (রহ:)

২৮। হযরত সৈয়দ গরিব শাহ্ (রহ:)

২৯। হযরত আলী শাহ্ (রহ:) ওরফে আনোয়াপীর

৩০। হযরত বিবি ঊষা (রহ:) (সৈয়দা নূরজাহান)

৩১। হযরত বিবি ছিমা (রহ:)

৩২। হযরত বিবি জাহেরা (রহ:)

৩৩। হযরত বিবি সুলতানা (রহ:) (সোয়া বিবি)

৩৪। হযরত সৈয়দ ছিদ্দিক শাহ্ (রহ:)

৩৫। হযরত মাখন শাহ্ (রহ:)

৩৬। হযরত রহমত উল্লাহ শাহ্ (রহ:)

৩৭। হযরত দেওয়ান শাহ্ (রহ:)

৩৮। হযরত দুধা দেওয়ান শাহ্ (রহ:)

৩৯। হযরত মিয়া শাহ্ (রহ:)

৪০।  সৈয়দ রুস্তম শাহ্ (রহ:)

 

নেত্রকোণার মদনপুরে সামন্তযুগে প্রচারিত ইসলামের মর্মবানী ভক্তদের জড়ো করতে ডংকা বাজানোর প্রথা চালু করেছিলেন হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (রহ.)।

সে সময় থেকে চালু ডংকা বাজানোর প্রথা এখনও এ সাধকের মাজারে নিশি শেষে এবং গোধুলী লগ্নে বেজে উঠে।


Post a Comment

0 Comments